জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে। নিজের স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে ঠাণ্ডা মাথায় শবে বরাতের নামাজ আদায় করেছেন পাষণ্ড স্বামী। নামাজ শেষে বাসায় ফিরে স্ত্রীর গলা কাটা মরদেহ নিয়ে চিৎকারও করেন তিনি। নিঃসন্তান দম্পতি পান্না বেগমের (৩০) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে আক্কেলপর থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭ ই মার্চ) রাত ১০ টার দিকে উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের গুডুম্বা পূর্বপাড়া গ্রামের এ ঘটনা ঘটেছে। স্বামী সিরাজুল ইসলাম লালু মিয়ার বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পান্না বেগম রায়কালি ইনিয়নের গুডুম্বার গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ওরফে লালুর স্ত্রী। সিরাজুল ইসলাম গ্রামের মসজিদে শবে বরাতের নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। নামাজ পড়ে এসে দেখেন গলাকাটা অবস্থায় স্ত্রীর লাশ বিছানায় পড়ে আছে। স্ত্রীর গলা কাটা লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে প্রতিবেশিরা ছুটে এসে পরে আক্কেলপর থানা পুলিশকে খবর দিলে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়৷

সন্তান না হওয়ায় স্ত্রীকে গলা করে হত্যা করেছে স্বামী সিরাজুল ইসলান মাঝে মাঝে আমার মেয়েকে নির্যাতন করত জমি বিক্রি করে নিয়ে আসতে বলে সে ঠান্ডা মাথায় আমার মেয়েকে হত্যা করেছে৷ পরিবার পরিচালনার ক্ষেত্রেও শ্বশুরবাড়ির লোকদের অনেক হস্তক্ষেপ করত। স্বামীর কটাক্ষে তিনি বিরক্ত ছিলেন বলেও উল্লেখ করেন নিহতের মা৷ পান্না বগুড়ার আদমদীঘি থানা ধামাল গ্রামের মেয়ে৷

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী সিরাজুল ইসলাম (৩৭) ও সিরাজুলের বড় ভাই আসাদ (৪৫) আসাদের ছেলে ও স্ত্রীসহ চার জনকে থানায় নেওয়া হয়েছে।

এবিষয়ে আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে বুধবার ৮ মার্চ সকালে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর বিস্তারিত জানা যাবে। তবে হত্যার রহস্য উদঘাটনের পুলিশি জোড় চেষ্টা চলছে।